২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দিয়ে শুরু। একে একে এরপর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান। চার সিনিয়র ক্রিকেটারের পর বাংলাদেশের জার্সিতে পঞ্চপান্ডবদের মধ্যে শেষ টি-টোয়েন্টিটাও গত রাতে খেলে ফেললেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
পাঁচ বছর পর ভারতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়েছে। ২ টেস্ট, ৩ টি-টোয়েন্টি—৫ ম্যাচের প্রতিটিতেই বাজেভাবে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর টোটকা দিলেন তাওহীদ হৃদয়।
রিয়ান পরাগ লং অনে ক্যাচটা ধরলেন। তাতেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসেরও শেষ হয়ে গেল। বিদায়ী ইনিংসের পর মাহমুদউল্লাহকে সম্মান জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে চেন্নাই সুপার কিংস।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা আগেই দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আজ শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন তিনি। সেই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সফল এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছেন। হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটিই তাঁর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। বাংলাদেশ দলের অন্যতম এই অলরাউন্ডারকে সম্মান জানাতে বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজ
প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি হেরে ভারতের কাছে আগেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। তাই হায়দরাবাদে আজ হতে যাওয়া সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিটি ভারতের জন্য নিছক আনুষ্ঠানিকতার হলেও বাংলাদেশের জন্য নয়। এটি দলের ধবলধোলাই হওয়ার হাত থেকে নিজেদের রক্ষার লড়াই নাজমুল হোসেন শান্তদের। লড়াই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জন্য বিদায়ী উপহার ব
হেলেদুলে আয়েশি ভঙ্গিমায় বল করতে চেয়েছিলেন রিয়ান পরাগ। যা পাড়ার ক্রিকেটেই বেশি হয়ে থাকে। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিপক্ষে গত রাতে দিল্লিতে পরাগের এমন বোলিংকে ‘নো বল’ ঘোষণা করা হয়েছে।
জয় তো দূরে থাক, দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গত রাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। হতশ্রী ব্যাটিং-বোলিংয়ে ৮৩ রানে হেরে নাজমুল হোসেন শান্তরা ভারতের কাছে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খুইয়েছেন। যা একটু লড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম বাংলাদেশের কাছে ভারতের সবচেয়ে পয়মন্ত ভেন্যু! কীভাবে? এখানে যে দুটি ম্যাচ বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত খেলেছে, দুটিতেই জয়। বাংলাদেশের শতভাগ জয়ের হার ভারতের আর কোনো ভেন্যুতে নেই।
১৭ বছর তো একেবারে কম সময় নয়। চোখের পলকে সময় চলে গেলেও রয়ে যায় কত স্মৃতি। প্রায় দেড় যুগের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের জার্সিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন ১৩৯ টি-টোয়েন্টি। দিল্লিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিলে আবেগঘন এক মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।
কদিন ধরেই মাহমুদউল্লাহর বিদায় নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কথায় সে রকম ইঙ্গিত মিলেছিল। কাল সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ। এতে সমাপ্তি ঘটছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর
বিশ্রামের আড়ালে সরিয়ে দিয়েছিল বিসিবি। তারপরও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হাল ছাড়েননি। শুধু নিজেকে প্রস্তুত রেখেছিলেন আর মাঠের কাজটা ঠিকঠাক চালিয়ে গেছেন। কয়েক মাস পর গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে আবারও সুযোগ পেলেন দলে। সমালোচনাকে তুড়ি দিয়ে করেছেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন দারুণ এক সেঞ্
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা ফিনিশারের খ্যাতি অনেক আগেই পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ক্যারিয়ারজুড়ে দলের বিপর্যয়ে হাল ধরা কিংবা অল্প বলে বেশি রান তুলে ম্যাচ শেষ করে আসার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে।
২০১৯ সালের ৩ নভেম্বরের রাত। সেদিন দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সেই প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছিল। শিবম দুবেকে মিড উইকেট দিয়ে পুল করে ছক্কা মেরে ফিনিশার হিসেবে জয় নিশ্চিত করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ভারত সফরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যাওয়ার পর থেকেই আলোচনা—টি-টোয়েন্টিতে এটাই শেষ সিরিজ এই অলরাউন্ডারের। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে সে ঘোষণা আসার ব্যাপারেও ছিল ব্যাপক আলোচনা। অবশেষে সেই কথাই সত্যি হলো। টেস্টের পর আজ টি-টোয়েন্টি থেকেও অবসরের ঘোষণা দিলেন ৩৯ ছুঁই ছুঁই মাহমুদউল্লাহ। আগামী শনিবার হায়দরাবা
কানপুরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দিল্লিতে আজ এল দেশের আরেক বড় তারকা ক্রিকেটারের বিদায়ের ঘোষণা। আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
‘মুরুব্বি, মুরুব্বি; উহুঁ, উহুঁ’—সাম্প্রতিক সময়ে এই ভাইরাল সংলাপটি সামাজিক মাধ্যমে শোনেনি, মনে হয় না বাংলাদেশে এমন কেউ আছেন! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ডায়ালগ এখন মানুষের মুখে মুখে। ট্রল সংস্কৃতির এই সময়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও নিস্তার পেলেন না এই সংলাপ থেকে।